জনকন্ঠের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হওয়ায় সাংবাদিক মুন্না মুক্ত তবে দেশে নয় ইউরোপে।


মাহমুদ আলী কবির। গোপালগঞ্জ।০১৭১৫২৮৩৭১৪ । গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ থেকে ২০০০ সালে একটি মামলা হয়ে ছিলো ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনকন্ঠ এবং সম্পাদক আতিকউল্লাহ্‌ খান মাসুদ এবং গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন মুন্নার বিরুদ্ধে। খাদেমুল ইসলাম জামাত নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন সেময় মামলা দায়ের করে দৈনিক জনকন্ঠের বিরুদ্ধে এই মর্মে যে দৈনিক জনকন্ঠ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর ছেপেছে । সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না লিখেছিলেন যে ,খাদেমুল ইসলাম জামাত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সংগে জড়িত এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন মাদ্রাসায় ছাত্রদের সন্ত্রাসী ট্রেনীং দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনি লিখেছিলেন যে,তাদের কর্তৃক পরিচালিত মাদ্রাসা সমুহের ছাত্ররা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং সেসব মাদ্রাসা থেকে পাস করা ছাত্ররা সে সময় কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮৬ কেজি বোমা পুতে হত্যা করতে চেয়েছিলেন এবং আরও কযেকটি সন্ত্রাসী কাজে তারা লিপ্ত। এধরনের সংবাদ অবশ্য অনেক সাংবাদিকই লিখেছিলেন। কিন’ খাদেমুল ইসলাম জামাতের রুদ্ররোষ গিয়ে পড়ে প্রগতিশীল সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না সহ গ্লোব জনকন্ঠ শিল্প পরিবারের কর্নধর আতিকউল্লাহ্‌ খান মাসুদের প্রতি। তারা একশ কোটি টাকার ক্ষতিপুরন চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ ১১ বছর পরে গত ৯ নভেম্বর আদালত প্রদত্ত রায়ে মোজাম্মেল হোসেন মুন্না সহ দৈনিক জনকন্ঠের সম্পাদক এখন মুক্ত। মামালাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছে। কিন’
মোজাম্মেল হোসেন মুন্না এখন দেশে নেই। সুদীর্ঘ কাল অপেক্ষার পর গত বছর মুন্না দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ী জমান। তিনি এখন ইটালীতে বাস করছেন। সেখানে কর্মময় জীবনের ফাঁকে তার পরিবারের কাছে তিনি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তিনি খুশি মামালাটি খারিজ হয়ে যাওয়ায়। কিন’ মুন্নার এই সংগ্রামী ১১ বছরে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে। তিনি একটি সরকারী চাকরী করতেন । ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ছিলেন তিনি। একই সাথে সাংাবাদিকতাও করতেন। একসময় তাকে সে চাকরীও ছাড়তে হয়। তারপর কাপড়ের ব্যাবসায় নামেন। কিন’ সব ছেড়ে ছুড়ে পাড়ি জমান দুর বিদেশে। বিদেশে পাড়ি জমান যতটা না জীবিকার টানে তার চেয়ে বেশী সন্ত্রাসীদের আষ্ফালন থেকে নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে। তিনি হয়তো এও জানতেন না যে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ধোপে টিকবে না। দেশে পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে জীবন যাপন করে যাচ্ছেন তিনি এখনও। কিন’ লেখালেখি ছাড়েন নি । এ কথাটি জানিয়েছেন ইতালী প্রবাসী একজন। হয়তো অভিমানী সাংাবাদিক মুন্না আবার একদিন দেশে ফিরে আসবেন। আবার সাংবাদিকতা করবেন। গোপালগঞ্জে যে কজন সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে মুন্না পুরোনো। অনেক শুভাকাংখী রয়েছে তার। দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে হয়তো কোন পুরষ্কার তিনি পাননি কিন’ দৈনিক জনকন্ঠের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি হিসাবে তার রয়েছে যথেষ্ট পরিচিতি। সাংবাদিক হিসাবে তিনি নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসাবে তৈরি করতে পেরেছিলেন অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও। গোপালগঞ্জের সাংবাদিকরা তাই তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজ হওয়ায় খুশি। সাংবাদিক মুন্না নতুন সাংবাদিকদের দিতেন প্রচুর উৎসাহ এবং সহায়তা। সেজন্য কমবেশী সব সাংবাদিকই এখন মোজাম্মেল হোসেন মুন্নাকে স্মরন করে। সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির জন্য লেখে। নিজেকে উৎসর্গ করে মানুষের তরে। সাংাবাদিকরা কারও শত্রু নন। তারা শুধু সত্যি ঘটনা তুলে ধরেন মানুষের সামনে। আর এ জন্য হয়তো হন বিরাগভাজন বা রুষ্ট। কিন’ দেশ ও জাতির স্বার্থে কেউ না কেউ তো লিখবে। সেজন্য হয়তো জুটবেনা পুরষ্কার বা গলায় ফুলের মালা। হয়তোবা কেউ সপ্রশংস সাধুবাদও জানাবে না। তবু চলবে লেখা। সাংবাদিকরা এ সংগ্রাম চালাবেই জনগনের স্বার্থে। ছবিতে বায়ে সাংবাদিক প্রসুন মন্ডল,মাঝে সাংবাদিক মাহমুদ আলী কবির এবং ডানে সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না।
Share on Google Plus

About Gopalganj Sangbad

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment