গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়া এলাকায় সেপটিক ট্যাংক মেরামত ও পরিষ্কার করতে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী হায়দার আলির নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের হারেছ মুন্সীর ছেলে নূর ইসলাম (২০), এইক গ্রামের আসাদ মুন্সীর ছেলে জাহিদুর মুন্সী (১৮) ও একই উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের আক্রাম মোল্যার ছেলে সুমন মোল্যা (৩৫)।
শ্রমিক মিহির মজুমদার জানান, ওই নির্মাণাধীন ভবনে একই সঙ্গে ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছিল। বেলা ১২টার দিকে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে প্রথমে জাহিদুল ইসলাম ও নুর ইসলাম ভেতরে নামে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সাড়া শব্দ না পাওয়ায় সুমন মোল্যাও মই বেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু সেও আর ফিরে আসেনি।
পরে বিষয়টি অন্য শ্রমিক ও এলাকাবাসী বুঝতে পেরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্যাংকির মুখ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ওই তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় উদ্ধার কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নিয়ামূল হুদা জানান, প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর লাশ উদ্ধার করা হয়। ট্যাংকির মুখ সরু হওয়ায় উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যহত হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে জমে থাকা গ্যাসে ওই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজ শেষ করে নিহতদের লাশ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment